স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে বড় হয়

স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে বড় হয়

স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে বড় হয়!

জীবনে বড় হতে হলে স্বপ্নবাজ হওয়া খুবই জরুরী। অনেকে আমার মতের সাথে ভিন্নমত পোষন করতেই পারেন। তারপরও বলি বাবার টাকায় বড় হওয়া আর শুন্য হাতে স্বপ্ন লালন করে বড় হওয়া ভিন্ন ব্যাপার।

সমাজের শ্রেনী বিভক্তির জায়গা থেকে একটি নিন্মবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানকে কতটা বেশী ভাল থাকার অভিনয় করতে হয় তা একমাত্র সেই জানে। আবার সবচেয়ে হতাশার মধ্যে তারাই ডুবে থাকে। সোনার চামচ মুখে নিয়ে যাদের জন্ম নয় তারা যে জীবনে বড় কিছু করবে না তাও কিন্তু নয়।

যারা জীবনে বড় হয়েছে তারা তাদের স্বপ্নকে লক্ষ ধরে নিয়েই কাজ করেছে। সেই সাথে পরিশ্রম আর লেগে থাকার বিনিময়ে সফলতাও পেয়েছে। জীবনে বড় হতে হতে হলে অনেক শিক্ষিত হতে হবে এমন কথাও নেই। অনেক সল্প শিক্ষিত ঝরে পড়া ষ্টুডেন্টও জীবনে বড় কিছু করেছে। কারন তাদের স্বপ্ন আর আত্মবিশ্বাস ছিল আকাশের ওপারে।

বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, স্টিভ জবস – এই তিনজনের মধ্যে দারুন একটা মিল আছে। কোথায় জানেন? তারা তিনজনই ইউনিভার্সিটি ড্রপ আউট স্টুডেন্ট। জুকারবার্গের তাও ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে, অন্য ২ জনের তাও নেই। এদের প্রত্যেকের সফলতার পেছনে ছিল জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন।

আন্ড্রু কার্নেগী গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। তিনি একটি খামারে কাজ করতেন। এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে তিনি আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন।

হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিট প্রথম জীবনে ‘এল পল্লো লোসো’ নামের এক রেস্টুরেন্টে মোরগের ড্রেস পরে হোটেলবয় এর কাজ করতো।

টমাস এলভা এডিসনকে ছোটবেলায় সবাই বোকা এবং সেই সাথে গাধাও বলত । তিনি পড়াশোনায় একদমই ভালো ছিলেন না। তবুও তিনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন। বিস্ময়কর ফুটবলার “মেসি” যে কিনা একসময় নিজের ফুটবলের ট্রেনিং এর খরচ যোগাতে চায়ের দোকানে কাজ করতেন।

এমন অনেকেই যারা ঠিক মত তিন বেলা খেতে পারেন নাই, খুব বেশী পড়াশুনা করতে পারেননি কিন্তু জীবনে স্বপ্ন লালন করতে ভুল করেন নাই এমন উদাহরন আমাদের সমাজেও কম নয়। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। কিন্তু সেই স্বপ্ন কি শুধু দেখলেই হবে? স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে হলে লেগে পড়ে কাজ করতে হবে। কাজকে ভালবাসতে হবে। ব্যর্থ হলেও থেমে না থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করতে হবে।